কর্পোরেশন

কর্পোরেশন বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা বিধিবদ্ধ সংস্থা হল রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত একদল লোক বা একটি সংস্থা, যা একক সত্তা ( আইনত কোনও ব্যক্তিও হতে পারে ) হিসাবে কাজ করে এবং আইনিভাবেও নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্যে স্বতন্ত্র হিসেবেই স্বীকৃত। প্রাথমিকভাবে অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলি সনদের (অর্থাৎ রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত বা কোনও সংসদ/আইনসভা কর্তৃক অনুমোদিত বিশেষ কোন আইন দ্বারা) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বেশিরভাগ এখতিয়ার বা বিচারব্যবস্থা এখন নতুন কর্পোরেশন (সংস্থা) তৈরির অনুমতি দেয়।

ম্যাকডোনাল্ড কর্পোরেশন হল বিশ্বের সবচেয়ে স্বীকৃত কর্পোরেশন বা সংস্থা।

কর্পোরেশন বিভিন্ন ধরনের হয়। তবে সাধারণত এখতিয়ার অনুসারে করপোরেশন দু ধরনের হতে পারে: তারা ইস্যু করতে পারে কি না, এবং লাভের জন্য কাজ করছে কি না।[১] এ ছাড়াও কর্পোরেশনগুলি মালিকানার ভিত্তিতে দু রকম: গ্রুপ অব কর্পোরেশন(সমবায় সংস্থা) কিংবা স্বতন্ত্র(একক) কর্পোরেশন। এই নিবন্ধের বিষয় মূলত সমবায় সংস্থা। একক কর্পোরেশন একটি আইনি সত্তা যার একটিই অফিস থাকে, একজনই আইনত স্বত্বাধিকারী যার প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।

স্থানীয় আইন কর্পোরেশনগুলিকে স্টক ইস্যু করতে পারা কিংবা না পারার ক্ষমতা দ্বারা দু ভাগে ভাগ করে। অনুমতিপ্রাপ্ত কর্পোরেশনগুলিকে "স্টক কর্পোরেশন" বলা হয়, কর্পোরেশনের মালিকানা স্টকের মাধ্যমে হয় এবং স্টক মালিকরা "স্টকহোল্ডার" বা "শেয়ারহোল্ডার"। যে সংস্থা গুলো স্টক ইস্যু করার অনুমতি পায় না সেগুলোকে বলে "নন-স্টক" কর্পোরেশন।এই সংস্থার মালিকেরা স্টক নিরপেক্ষ সংস্থার মালিক হিসাবে বিবেচিত হন। তারা সকলেই সংস্থার সদস্য কিংবা সদস্যপদ প্রাপ্ত।

কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে নথিভুক্ত কর্পোরেশনগুলি লাভের জন্য অনুমোদিত কিনা তা যথাক্রমে "মুনাফার জন্য" এবং "মুনাফার জন্য নয়" হিসেবে দু'ভাগে ভাগ করা হয়।

অলাভজনক কর্পোরেশনগুলোই সব সময় নন-স্টক হিসাবে এবং লাভজনক কর্পোরেশনগুলোই স্টক কর্পোরেশন। একটি অলাভজনক কর্পোরেশন প্রায় সর্বদাই স্টক কর্পোরেশন এর কাজ করে, তবে কিছু লাভজনক কর্পোরেশননন-স্টক হিসাবেও কাজ করে। সহজ ব্যাখ্যার জন্য বলা যেতে পারে, এই নিবন্ধে পরবর্তী অংশে যখনই " স্টক হোল্ডার " বা " শেয়ার হোল্ডার " ব্যবহার করা হবে, এটি অলাভজনক কর্পোরেশনকে বোঝাতেই ব্যবহৃত হবে।

নিবন্ধনকৃত কর্পোরেশনগুলির বৈধ আইনি সত্ত্বা আছে এবং তাদের শেয়ারগুলি শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানাধীন।[২][৩] এগুলোর দায়বদ্ধতা সাধারণত তাদের বিনিয়োগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। শেয়ারহোল্ডাররা সাধারণত কোনও কর্পোরেশন সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করে না; বরং তারা কর্পোরেশনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ করেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, একজন শেয়ারহোল্ডার কোনও কর্পোরেশনের পরিচালক বা কর্মকর্তা হিসাবেও কাজ করার ক্ষমতা রাখেন।

আমেরিকান ইংরেজিতে, কর্পোরেশন শব্দটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বড় ব্যবসায়িক কর্পোরেশনগুলির বর্ণনা দিতে ব্যবহার করা হয়।[৪] ব্রিটিশ ইংরেজিতে এবং কমনওয়েলথ দেশগুলিতে, কোম্পানী (সংস্থা) শব্দটি একই অর্থে বেশি ব্যবহৃত হয় এবং কর্পোরেশন শব্দটি এই ধরনের সমস্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। আমেরিকান ইংরেজিতে, সংস্থা শব্দটি অংশীদারিত্বের মতো সত্তাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে যা ব্রিটিশ ইংরেজিতে সংস্থা হিসাবে বিবেচিত হবে না কারণ এই ধরনের কর্পোরেশনের পৃথক আইনি সত্তা নেই।

উনিশ শতকের শেষদিকে, কর্পোরেশনের নতুন একটি গঠন আবির্ভূত হয়। এটি কর্পোরেশনের দায়বদ্ধতার সীমাবদ্ধ সুরক্ষা এবং একক মালিকানা বা অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে আরও ইতিবাচক ট্যাক্স এর সুযোগ সৃষ্টি করে। কর্পোরেশন না হলেও, এই নতুন ধরনের সত্তাটি কর্পোরেশনের বিকল্প হিসাবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ এতে স্টক ইস্যু করার দরকার হয় না। জার্মানিতে, এই সংগঠন গেসেলশ্যাফট মিট বেসচারানকটার হাফতং বা জিএমবিএইচ নামে পরিচিত ছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তিকে, নন-কর্পোরেট সংগঠনের এই নতুন রূপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশেও প্রচলিত ছিল এবং এটি বা এলএলসি নামে পরিচিত ছিল। যেহেতু প্রযুক্তিগতভাবে জিএমবিএইচ এবং এলএলসি সংগঠনগুলো কর্পোরেশন নয় (যদিও তাদের অনেকগুলি একই ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে), তাই এগুলো সম্পর্কে এই নিবন্ধে আলোচনা করা হবে না।

ইতিহাসসম্পাদনা

স্টোরা কপারবার্গ খনির শেয়ারের ১/৮ অংশ, তারিখঃ ১৬ই জুন ১২৮৮ সাল।

"কর্পোরেশন" শব্দটি কর্পাস থেকে এসেছে।, কর্পাস একটি লাতিন শব্দ যার অর্থ "মানুষের দেহ"। জাস্টিনিয়ানের যুগে (রাজত্বের সময়কাল ৫২৭-৫৫৬৫ সাল), রোমান আইন একাধিক কর্পোরেট সত্তাকেইউনিভার্সিটিয়াস, কর্পাস বা কলেজিয়াম নামে স্বীকৃতি দেয়। এর মধ্যে রোমান রাজ্য ( পপুলাস রোমানাস )নিজে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়াও পৌরসভা এবং এই বেসরকারি সংগঠন গুলো ধর্মীয় সংগঠন, দাফন কার্য সমাধাকারী সংগঠন, রাজনৈতিক দল এবং কারিগর বা ব্যবসায়ী সংস্থার ব্যয় বহনকারী হিসেবে কাজ করত। এই কর্পোরেশনগুলো সম্পত্তির আইনি মালিকানা এবং চুক্তি সাক্ষর করার, উপহার গ্রহণ, আইনি অধিকার প্রাপ্তি, মামলা দায়ের কিংবা মামলা করার এবং সাধারণভাবে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আইনি কাজ করার অধিকার ছিল। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সম্রাট কর্তৃক মনোনীত সুযোগ-সুবিধা এবং স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল।[৫]

প্রাচীন রোমে এবং প্রাচীন ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্যে যে সংস্থাগুলো ব্যবসা চালিয়েছিল তাঁদের আইনি অধিকারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।[৬]

মধ্যযুগীয় ইউরোপে চার্চগুলি ইনকর্পোরেট ছিল, যেমন স্থানীয় সরকার,পোপ এবং সিটি অফ লন্ডন কর্পোরেশন। মুল বক্তব্য় হল, কর্পোরেশনের স্থায়িত্ব এর সদস্যের চেয়ে বেশি দিন কিংবা চিরস্থায়ীও হতে পারে। কথিত আছে,সুইডেনের ফালুনে অবস্থিত বিশ্বের প্রাচীনতম বাণিজ্যিক কর্পোরেশন, স্টোরা কোপারবার্গ খনি সম্প্রদায় ১৩৪৭ সালে, রাজা ম্যাগনাস এরিকসনের কাছ থেকে একটি সনন্দ অর্জন করেছিল।

মধ্যযুগীয় সময়ে, ব্যবসায়ীরা অংশীদারিত্বের মতো সাধারণ আইন কাঠামোর ভিত্তিতেই ব্যবসা করতেন। যখনই ব্যবসায়ীরা লাভের জন্য একসাথে কাজ করেছে, আইনানুযায়ী একে অংশীদারত্ব হিসেবেই গণ্য করা হত। শুরুর দিকের সমবায় সংস্থা এবং পোশাকশিল্প সংস্থাগুলিও প্রায়শই ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতো।

বাণিজ্যতত্ত্বসম্পাদনা

ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী / ইউনাইটেড ইস্ট ইন্ডিজ কোম্পানির এক ইস্ট ইন্ডিয়ানম্যানের প্রতিলিপি। ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া সংস্থাকে ( ভিওসি )[৭] অনেকেই আধুনিক কর্পোরেশনের প্রথম ঐতিহাসিক আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করেন।[৮][৯][১০][১১][১২][১৩][১৪] ভিওসি মূলধন-ভিত্তিক প্রথম স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত সীমাবদ্ধ-দায়বদ্ধতার যৌথ-শেয়ার কর্পোরেশনও ছিল[১৫][১৬][১৭][১৮][১৯]

ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (ভিওসি) এবং হাডসন বে কোম্পানী এর মত ডাচ এবং ইংলিশ সনন্দ পাওয়া সংস্থাগুলি, ১৭ তম শতাব্দীতে ইউরোপীয় দেশগুলির ঔপনিবেশিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল। ডাচ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সনন্দের অধীনে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া সংস্থা পর্তুগিজ বাহিনীকে পরাজিত করে ইউরোপীয়দের মসলার চাহিদা বুঝে লাভের উদ্দেশ্যেই মলুক্কান দ্বীপপুঞ্জে পাড়ি জমায়। ভিওসি-র বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের মালিকানার প্রমাণ হিসাবে সনদ ইস্যু করা হয়েছিল এবং তারা মূল শেয়ারটি আমস্টারডাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন করতে সক্ষম হয়েছিল। বিনিয়োগকারীদের সংস্থার রাজকীয় সনদে সীমিত দায়বদ্ধতাও স্পষ্টভাবে দেয়া হয়েছিল।[২০]

১৬২৩ সালে ২৪০০ ফ্লোরিনের জন্য ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির (ভিওসি) জারি করা একটি বন্ড।

ইংল্যান্ড সরকার, একটি নির্দিষ্ট রাজ্য একচেটিয়া ভাবে রাজকীয় সনদ বা সংসদ আইনের অধীনে কর্পোরেশন তৈরি করে। তৎকালীন সর্বাধিক পরিচিত উদাহরণ ছিল ১৬০০ সালে প্রতিষ্ঠিত লন্ডনের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিরানী প্রথম এলিজাবেথ কেপ অফ গুড হ্যাপের পূর্বে সমস্ত দেশের সাথে বাণিজ্য করার একচেটিয়া অধিকার অনুমোদন করেন। সেই মুহূর্তে কয়েকটি কর্পোরেশন সরকারের পক্ষে কাজ করবে, বিদেশে শাসন প্রতিষ্ঠা করে শোষণের মাধ্যমে অর্থ আনয়ন করবে। পরবর্তীকালে, সংস্থাটি ইংরেজি এবং পরবর্তীকালে ব্রিটিশ সামরিক এবং ঔপনিবেশিক নীতির সাথে ক্রমবর্ধমান ভাবে একীভূত হয় এবং বেশিরভাগ কর্পোরেশন গুলোর মতই এটিও মূলত রাজকীয় বিমান বাহিনীর বাণিজ্যরুট নিয়ন্ত্রণের দক্ষতার উপর নির্ভরশীল ছিল।

সমসাময়িক এবং ঐতিহাসিক উভয়েই ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে "বিশ্বের ব্যবসায়ীদের সর্ব বৃহৎ সোসাইটি" হিসাবে মানতেন, এই প্রতিষ্ঠানটি সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনার প্রতীক হিসাবে দেখা হত, পাশাপাশি ব্যবসার নতুন পদ্ধতিগুলিও নির্মম এবং শোষণীয় হতে পারে এই তত্ত্বের প্রচারক ছিল।[২১] ১৬০০ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর, রানী এলিজাবেথ প্রথম সংস্থাটিকে ইস্ট ইন্ডিজ এবং আফ্রিকায় ১৫ বছরের একচেটিয়া বাণিজ্য করার অনুমতি দেন।[২২] ১৭১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের প্রায় ১৫০ শতাংশ ফেরত পেতে শুরু করেন। পরবর্তী শেয়ারের সুযোগগুলো কোম্পানী কতটা লাভজনক হয়ে উঠেছে তাই প্রদর্শন করত। ১৭১৩-১৭১৬ তে, এর প্রথম স্টক অফারিং এ £ ৪১৮,০০০ সংগ্রহ করে, এবং দ্বিতীয় স্টক অফারিং এ ১৭১৭-১৭২২ এ £ ১.৬ মিলিয়ন পর্যন্ত সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।[২৩]

একই ধরনের অনুমোদিত সংস্থা সাউথ সি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৭১১ সালে। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল স্পেনীয় দক্ষিণ আমেরিকার উপনিবেশগুলিতে বাণিজ্য করা। তবে তারা পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। অনুমান করা হয়, দ্য সাউথ সি কোম্পানি একচেটিয়া অধিকারগুলি ১৭১৩ সালের,ইউট্রেক্ট চুক্তি (Treaty of Utrecht) দ্বারা স্বাক্ষরিত ছিল, যা স্প্যানিশ উত্তরসূরী যুদ্ধের পরে একটি সমঝোতা হিসাবে গ্রেট ব্রিটেনকে এই অঞ্চলে ত্রিশ বছর ধরে বাণিজ্য করার সুযোগ দেয়। আসলে স্প্যানিশরা ছিল শত্রু মনোভাবাপন্ন এবং এক বছরে কেবল একটিমাত্র জাহাজ প্রবেশ করতে দিত। এই সমস্যাগুলি সম্পর্কে ব্রিটেনের বিনিয়োগকারীরা অনবগত ছিল।তারা অতিরিক্ত লাভের প্রতিশ্রুতিতে প্রলুব্ধ হয়ে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাদের কাছ থেকে হাজার হাজার শেয়ার কিনেছিলেন। ১৭১৭ সালে, সাউথ সি কোম্পানিটি এত সম্পদশালী ছিল (এখনও সত্যিকার অর্থে কোন ব্যবসাই করেনি) যে ফলস্বরূপ এটি ব্রিটিশ সরকারের ঋণ গ্রহণ করে। এটি বুদবুদ আইন ১৭২০ এর মত শেয়ারের মূল্যস্ফীতিকে আরও ত্বরান্বিত করেছিল। বুদবুদ আইন ১৭২০,সম্ভবত সাউথ সি কোম্পানিকে প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করার জন্যই রাজকীয় সনন্দ ছাড়া সংস্থাগুলোকে নিষিদ্ধ করে দেয়। শেয়ারের দাম এত তাড়াতাড়ি বেড়ে যায় যে লোকজন কেবলমাত্র তাদের শেয়ার বেশি দামে বিক্রয় করার জন্য শেয়ার কেনা শুরু করে, যার ফলস্বরূপ শেয়ারের দাম আরও বেড়ে যায়। এটিই ছিল প্রথম সম্ভাব্য বুদবুদ, তবে ১৭২০ সালের শেষের দিকে বুদবুদ "বিস্ফোরণ" ঘটে এবং শেয়ারের দাম ১০০০ ডলার থেকে ১০০ ডলারের নিচে নেমে যায়। সরকারি এবং অভিজাত সমাজে দেউলিয়া অবস্থা এবং প্রত্যভিযোগ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। কর্পোরেশন এবং অনভিজ্ঞ পরিচালকদের বিপক্ষে একটা তিক্ত ভাব বিরাজ করে।

সাউথ সি কোম্পানির শেয়ার মূল্যের চার্ট। ১৭১০ এর দশকের শেয়ারের মূল্য দ্রুত মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাবল আইন ১৭২০ শুরু হয়েছিল, যা রাজকীয় সনদ ছাড়া সংস্থাগুলির প্রতিষ্ঠাকে সীমাবদ্ধ করেছিল।

১৮ শতকের শেষদিকে, স্টুয়ার্ট কিড,(ইংরেজিতে কর্পোরেট আইন সম্পর্কিত প্রথম গ্রন্থের লেখক) কর্পোরেশনকে এইভাবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন:

কিছু স্বতন্ত্র ব্যক্তি একক স্বত্বা হিসেবে কোন চার্চের শাখার অধীনে এক হয়ে কাজ করবে, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া (কারো মৃত্যু বা ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রভাবিত না হয়ে চলতে থাকা) কৃত্রিম গঠনের অধীন থাকবে, আইন ও বিধি দ্বারা সুরক্ষিত এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা রাখবে, একক স্বত্বা হিসেবে সম্পত্তি গ্রহণ বা দানের ক্ষমতা রাখবে,কিছু শর্তের অধীনে থাকবে,মামলা করতে পারবে এবং এর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে, একজন সাধারণ নাগরিকের মতই অধিকার এবং সংস্থার নীতিমালা, এর গঠন, প্রতিষ্ঠাকাল বা চলাকালীন সময় এবং এর ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কিছু রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা পাবে।

— অ্যা ট্রিটিজ অন দ্য ল' অফ কর্পোরেশন, স্টুয়ারট কিড(১৭৯৩–১৭৯৪)

আধুনিক সংস্থা আইনের বিকাশসম্পাদনা

আঠারোো শতাব্দীর শেষদিকে, বাণিজ্যবাদ থেকে অর্থনৈতিক তত্ত্ব বাদ দেয়া হয়। অ্যাডাম স্মিথ এবং অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের নেতৃত্বে অর্থনীতিতে একটি বিপ্লবের সৃষ্টি হয়। ফলস্বরূপ আধুনিক উদারনীতিবাদ এবং অবাধনীতি অর্থনৈতিক তত্ত্বের উত্থান ঘটে। এই সময় কর্পোরেশনগুলি সরকার বা সমবায় অধিভুক্ত সংস্থাগুলি থেকে সরকারি ও সরকারের আওতামুক্ত ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।[২৪] স্মিথ তার ১৭৭৬ সালের রচনা দ্য ওয়েলথ অফ নেশনস এ উল্লেখ করেন, গণপূর্ত কর্পোরেট কার্যক্রম বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সাথে মিলবে না, কারণ অন্যের অর্থের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত দায়িত্বের মতো করে যত্ন নেবে না।[২৫]

"জ্যাক অ্যান্ড দ্য জায়ান্ট জয়েন্ট-স্টক", টাউন টকের একটি কার্টুন (১৮৫৮) যৌথ-স্টক অর্থনীতিতে ব্যঙ্গ করে 'দানব' হিসেবে দেখানো হয়েছে। যা যৌথ স্টক সংস্থা আইন ১৮৪৪-এর পরে কার্যকর হয়েছিল।

সংস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ বাবল আইন ১৭২০ এর নিষেধাজ্ঞাগুলি ১৮২৫ সালে এটি বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত কার্যকর ছিল। সেই সময়, শিল্প বিপ্লব, ব্যবসার সুবিধার্থে আইনি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছিল।[২৬] নিষেধাজ্ঞাগুলি ছিল সুবিধা হ্রাস করার প্রারম্ভিক পদক্ষেপ মাত্র। পূর্বের সংস্থা আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলির ব্যবসায়িক উদ্যোগ (চার্লস ডিকেনস এরমার্টিন চ্যাজলুইট এ বর্ণিত ) প্রায়শই কেলেঙ্কারীর সম্মুখীন হত। সম্মিলিত প্রবিধান ব্যতীত, "অ্যাংলো-বেঙ্গলি বিচ্ছিন্ন সুদমুক্ত ঋণ এবং জীবন বীমা সংস্থা" এর মত অদূরদর্অশী উদ্যোগের কারণে সাফল্য অবদমিত হয়ে যায়।[২৭]

ইনকর্পোরেশন কেবল রাজকীয় সনদ বা একটি বেসরকারি আইনের দ্বারাই অনুমোদিত হত কিন্তু এর সুযোগ-সুবিধাও সীমাবদ্ধ ছিল। ফলস্বরূপ, অনেক ব্যবসাই প্রায় হাজার হাজার সদস্যের সমন্বিত সমবায় সংস্থা হিসাবে পরিচালিত হচ্ছিল। ফলস্বরূপ যে কোনও মামলা মোকদ্দমা সকল সদস্যের নামে যৌথভাবে চালানো হচ্ছিল যা অসম্ভব জটিল হয়ে দাঁড়ায়। যদিও সংসদ কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে আইনি কার্যক্রমে পুরোপুরি প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দেয়ার জন্য একটি বেসরকারি আইন অনুমোদন করে,কিন্তু এটি ছিল সংকীর্ণ এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলিকেই এই অনুমোদন দেয়া হয়।

এরপর, ১৮৪৩ সালে উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোন যৌথ মূলধন ব্যবসা সংস্থাগুলির একটি সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হন, যা যৌথ মূলধন ব্যবসা আইন ১৮৪৪ এর সূচনা ঘটায়। এটি সংস্থা আইনের প্রথম আধুনিক অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।[২৮] এই আইনটি যৌথ মূলধন সংস্থাগুলির জন্য, দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নিবন্ধন প্রক্রিয়া তৈরি করে। প্রথম, অস্থায়ী, পর্যায়ের ব্যয় £৫ এবং দ্বিতীয় পর্বে আরও £৫ ব্যয় হবে এবং কর্পোরেট হিসেবে অনুমোদিত হবে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে নিবন্ধকরণের একটি সহজ পদ্ধতির আবির্ভাব ঘটে।[২৯] একটি পৃথক আইনজীবী ব্যক্তি হিসাবে সংস্থা প্রতিষ্ঠার সুবিধাটি ছিল মূলত প্রশাসনিক, একীভূত সত্তা হিসাবে, যার অধীনে সমস্ত বিনিয়োগকারী এবং পরিচালকদের অধিকার এবং দায়িত্ববপরিচালনা করা যেত।

সীমিত দায়সম্পাদনা

যদিও, তখনো কোনও সীমাবদ্ধ দায়বদ্ধতা ছিল না এবং কোম্পানির সদস্যদের সীমাহীন ক্ষতির জন্য দায়ী করা হতো।[৩০] পরবর্তী, গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ছিল, বাণিজ্য বোর্ডের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিঃ রবার্ট লোয়ের নির্দেশে সীমাবদ্ধ দায়বদ্ধতা আইন পাস করা। এটি ব্যবসায়িক ব্যর্থতার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগকারীরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে তা সীমাবদ্ধ করার সুযোগ দেয় - বিনিয়োগকারীরা সরাসরি পাওনাদারদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে,তবে কেবল তাদের শেয়ারের যে অংশের অর্থ পরিশোধ করেনি তার জন্য। (এই নীতিটি যৌথ মূলধন সংস্থা আইন ১৮৪৪ এর পত্তন ঘটায়)।

১৮৫৫ সালের আইনটি ২৫ সদস্যের অধিক বিনিয়োগকারী বিশিষ্ট সংস্থাগুলিকে সীমাবদ্ধ দায়বদ্ধতার অনুমতি দিয়েছে। বীমা সংস্থাগুলিকে এই আইন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, যদিও বীমা চুক্তির জন্যে আদর্শ ব্যবস্থা ছিল, পৃথক পৃথক ভাবে স্বতন্ত্র সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপটি বাদ দেয়া। বীমা সংস্থাগুলির সীমাবদ্ধ দায়বদ্ধতা কোম্পানি আইন ১৮৬২ দ্বারা অনুমোদিত ছিল।

এটি ইংরেজ সাময়িকী দি ইকোনমিস্টকে ১৮৫৫ সালে লিখতে অনুপ্রাণিত করে যে "সম্ভবত কখনও কোন পরিবর্তন এতো জোরালো ভাবে দাবী করা হয়নি যার তেমন গুরুত্বই নেই।"[৩১] এই রায়ের প্রধান ত্রুটি সেই একই সাময়িকীর মাধ্যমে ৭০ বছর পর জনগণের সামনে আসে। দি ইকোনমিস্ট দাবি করে, ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ … অজ্ঞাত উদ্ভাবককে নিযুক্ত করতে পারে, যেমনটি ওয়াট, স্টিফেনসন এবং শিল্প বিপ্লবের অন্যান্য অগ্রগামীদের প্রতি সম্মান রেখে ব্যবসায় কর্পোরেশনগুলিতে প্রয়োগ করা হয়েছে॥"[৩২]

১৮৫৬ সালে যৌথ মূলধন ব্যবসার ল্যান্ডমার্ক আইনে দুটি বৈশিষ্ট্যঃ সহজ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি এবং সীমাবদ্ধ দায়বদ্ধতা যুক্ত করা হয়। পরবর্তীকালে এটি ১৮৪২ এর সংবিধানের অন্যান্য আইনগুলোর সাথে একীভূত হয়,যা সালমন ভি.সালমন অ্যান্ড কোং সিদ্ধান্তের সময় অবধি এবং শতাব্দীর বাকি সময় পর্যন্ত কার্যকর ছিল।[৩৩]

এই আইনটি নতুন সংস্থা গঠনের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে এবং এরপর থেকে, সংস্থাগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে, হতাশা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংস্থাগুলি যেভাবে হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছিল, তেমনি ভাবে কমে যেতে থাকে এবং অনেকেই অসচ্ছল হতে শুরু করে।" ব্যবসায় লোকসানের দায়বদ্ধতা থেকে ব্যবসায়ীদের মুক্তি পাওয়া উচিত" এই ধারণার বিরুদ্ধে অনেক শক্তিশালী প্রশাসনিক, আইনসভা ও বিচারকের মত বিরোধ ছিল।

পরবর্তী উন্নয়নসম্পাদনা

লিন্ডলি এলজে ছিলেন সালমন ভি. সলমন কোং কেসে অংশীদারিত্ব এবং কোম্পানি আইনের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ। ল্যান্ডমার্ক কেসটি কোম্পানির স্বতন্ত্র কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব নিশ্চিত করেছে।

১৮৯২ সালে, কোম্পানির সমস্ত শেয়ার একজনের হাতে থাকা সত্ত্বেও জার্মানি গেসেলশ্যাফ্ট এমআইটি বেসচ্র্যাংক্টার হাফটং (সংক্ষেপে GmbH) এর প্রবর্তন করে যার পৃথক আইনি ব্যক্তিত্ব এবং সীমিত দায়বদ্ধতা আছে। এই উদ্যোগ অন্যান্য দেশগুলোকে এই ধরনের কর্পোরেশনীর প্রচলন করতে অনুপ্রাণিত করে।

ইতিহাসে সংস্থাগুলির শেষ উল্লেখযোগ্য বিকাশ ছিল সালমন ভি.সালমন অ্যান্ড কোং এ হাউস অফ লর্ডসের ১৮৯৭ সালের সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে হাউস অফ লর্ডস সংস্থার পৃথক আইনি ব্যক্তিত্ব নিশ্চিত করে এবং সংস্থার দায়বদ্ধতা এর মালিকদের দায়বদ্ধতা থেকে পৃথক এবং স্বতন্ত্র ছিল।

১৯ শতকের শেষ দিকে,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কর্পোরেশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। কার্নেগির স্টিল কর্পোরেশন এবং রকফেলার এর স্ট্যান্ডার্ড অয়েল এর মতো অনেকগুলি বেসরকারি কর্পোরেশন কর্পোরেট মডেলটিকে এড়িয়ে যায় (ট্রাস্ট হিসাবে)। রাজ্য সরকারগুলি উনিশ শতকের গোড়ার দিকে আরও অনুমতিপ্রাপ্ত কর্পোরেট আইন গ্রহণ শুরু করে, যদিও এগুলোর সবগুলোরই সীমাবদ্ধতা ছিল, কর্পোরেশনগুলিকে অত্যধিক সম্পদ এবং ক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখাই ছিল এই বিধি নিষেধের উদ্দেশ্য।[৩৪]

১৮৯৬ সালে, নিউ জার্সি ছিল প্রথম রাজ্য যা ব্যবসায়িক আকর্ষণ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে, সক্রিয় কর্পোরেট আইন গ্রহণ করে।[৩৫] ১৮৯৯ সালে, ডেলাওয়্যার নিউ জার্সির নেতৃত্ব অনুসরণ করে একটি কার্যকর কর্পোরেট আইন জারি করে, তবে ১৯১৩ সালে নিউ জার্সি কর্পোরেট আইন কার্যকর করার বিধানগুলি বাতিল করার পরে ডেলাওয়্যার কেবল শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট রাজ্যে পরিণত হয়।[৩৪]

উনিশ শতকের শেষভাগে, অধিষ্ঠিত সংস্থা এবং কর্পোরেট একীভূতীকরণকারীরা বিনিয়োগকারীদের আরও বড় কর্পোরেশনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। দেশ প্রতিযোগিতা এবং কর্পোরেশন কে সুরক্ষা করতে চুক্তি বিরোধী আইন প্রনয়ন শুরু করে। বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী নিবন্ধীকরণের মাধ্যমে কর্পোরেশন তৈরি করার অনুমতি দেয়। এর ফলস্বরূপ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং পরে অনেক দেশেই অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয় I প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে আরেকটি প্রধান শিল্পের (বহু বাণিজ্য) বিকাশ ঘটে, বড় কর্পোরেশনগুলি ব্যবসার প্রসারের লক্ষ্যে ছোট কর্পোরেশনগুলি কিনে নিতে শুরু করে।

১৯৮০ এর দশক থেকে শুরু করে, অনেক দেশ বড় বড় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কর্পোরেশন গুলো বেসরকারিকরণের দিকে অগ্রসর হয়। সরল, সরকারি মালিকানাধীন (বা 'জাতীয়করণ') পরিষেবা সহ কর্পোরেশন বিক্রি করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। কোন সরকারি সংস্থা বা সেবা প্রতিষ্ঠানের অনিয়মিত কার্যকলাপ প্রতিষ্ঠানটিকে বেসরকারিকরণের নীতির অংশ হিসাবে কাজ করে।

মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণসম্পাদনা

একটি কর্পোরেশন, অন্তত ত্ত্বমতে, এর সদস্যদের মালিকানাধীন এবং তাঁদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। একটি যৌথ মূলধন সংস্থায় সদস্যরা বিনিয়োগকারী হিসাবে পরিচিত এবং কর্পোরেশনের মালিকানা, নিয়ন্ত্রণ এবং মুনাফার ক্ষেত্রে তাদের প্রতিটি অংশ কোম্পানির মালিকানাধীন অংশের দ্বারা নির্ধারিত হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি যৌথ মূলধন সংস্থায় এক-চতুর্থাংশ শেয়ারের মালিক, সে সেই সংস্থারও এক চতুর্থাংশের মালিক (বা বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ হিসাবে দেওয়া লাভের অন্তত এক চতুর্থাংশের ভাগীদার) এবং সাধারণ সভায় ভোটের ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রযোজ্য।

অন্য আরেক ধরনের কর্পোরেশনে, আইনি দলিল যার দ্বারা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বা যা বর্তমান নীতিমালা নির্ধারণ করে। এই আইনি দলিল নির্ধারণ কোড়বে কর্পোরেশনের সদস্যরা কে বা কারা। কে সদস্য হতে পারে তা নির্ভর করে কর্পোরেশনের ধরনের উপর। শ্রমিক সমবায় এর সদস্য তারাই যাঁরা সমবায়ের পক্ষে কাজ করেন। ক্রেডিট ইউনিয়নে সদস্যরা হলেনএমন ব্যক্তি যাঁদের ক্রেডিট ইউনিয়নের অ্যাকাউন্ট আছে।[৩৬]

একটি কর্পোরেশনের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড সাধারণত সদস্যদের দ্বারা নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, এটি একজন ব্যক্তি হতে পারে। তবে সাধারণত, কর্পোরেশনগুলি এক বা একাধিক কমিটির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বিশদ ব্যাখ্যা দিতে গেলে বলতে হবে বলতে, দু ধরনের কমিটি কাঠামো প্রচলিত আছে।

  • অধিকাংশ দেশেই পরিচালনা পর্ষদ হিসাবে পরিচিত একক কমিটি ই সাধারণ আইনে গ্রহণযোগ্য। এই মডেলটির অধীনে, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী এবং অ-নির্বাহী উভয় পরিচালকদের নিবন্ধিত করা হয়, এই মডেলের মাধ্যমেই কোম্পানির প্রাক্তন পরিচালনার তদারকি করা হয় এবং পরবর্তী নির্বাহী অ-নির্বাহী কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেয়া হয়।
  • নাগরিক আইন ভিত্তিক দেশগুলোতে একটি তত্ত্বাবধায়ক বোর্ড এবং একটি পরিচালনা বোর্ডের সাথে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট কমিটি কাঠামো প্রচলিত।[৩৭]

গঠনসম্পাদনা

ঐতিহাসিকভাবে, কর্পোরেশনগুলি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সনদ প্রাপ্তির মাধ্যমে তৈরি হয়। বর্তমানে, কর্পোরেশনগুলি সাধারণত রাজ্য, প্রদেশ বা জাতীয় সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয় এবং সেই সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। কর্পোরেশনের দায়বদ্ধতার সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করার জন্য প্রধান পূর্বশর্তই নিবন্ধন করা। আইনটি কখনও কখনও কর্পোরেশনকে তার মূল ঠিকানা, পাশাপাশি একটি নিবন্ধিত এজেন্ট (কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা যা প্রক্রিয়াটির আইনি সেবা গ্রহণের জন্য মনোনীত করা হয়) পেশ করতে বলে। এজন্য এজেন্ট বা কর্পোরেশনের অন্যান্য আইনি প্রতিনিধিও নির্ধারণ করার প্রয়োজন হতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

সাধারণত, একটি কর্পোরেশন সরকারের কাছে নিবন্ধ সম্পর্কিত নিবন্ধ দাখিল করে যা কর্পোরেশনের সাধারণ কার্য কলাপ এবং প্রকৃতি সম্পর্কে বর্ণনা করে, তার কত পরিমাণ অনুমোদিত মজুদ আছে এবং পরিচালকের নাম-ঠিকানা। নিবন্ধগুলি অনুমোদিত হওয়ার পরে, কর্পোরেশনের পরিচালকরা আইনানুগভাবে, কর্পোরেশনের অভ্যন্তরীণ কাজগুলি যেমন বৈঠকের পদ্ধতি এবং অফিসার পদবিন্যাস করতে একত্রিত হন।

কোন কর্পোরেশন পরিচালিত আইনের এখতিয়ারে তার বেশিরভাগ অভ্যন্তরীণ তৎপরতা এবং এর অর্থ সম্পদও নিয়ন্ত্রণ করবে। যদি কোনও কর্পোরেশন তার নিজ রাষ্ট্রের বাইরে কাজ করলে তাকে অন্যান্য সরকারের কাছেও বিদেশী কর্পোরেশন হিসেবে নিবন্ধন করা প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি হতে হবে সেই রাষ্ট্র গুলোর কর্মসংস্থান, অপরাধ, চুক্তি, নাগরিক ক্রিয়াকলাপ বিষয়ক আইন সাপেক্ষে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

নামকরণসম্পাদনা

সাধারণত যে কোন কর্পোরেশনের স্বতন্ত্র নাম থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, কিছু কর্পোরেশনকে তাদের সদস্যতা অনুসারে নামকরণ করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, "হার্ভার্ড কলেজের রাষ্ট্রপতি এবং ফেলো"। আজকাল, বেশিরভাগ এখতিয়ারে কর্পোরেশনগুলির স্বতন্ত্র নাম থাকে যেখানে সদস্যপদ উল্লেখ করার প্রয়োজন হয় না। কানাডায়, এই সম্ভাবনাটিকে তার যৌক্তিকতার চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেক ছোট কানাডিয়ান কর্পোরেশনগুলির কোনও নামই নেই। কেবল নিবন্ধন সংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যা (উদাহরণস্বরূপ, "১২৩৪৫৬৭৮ অন্টারিও লিমিটেড" একটি করপোরেশন), যা প্রাদেশিক বা আঞ্চলিক সরকার দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে যেখানে কর্পোরেশনটি কাজ করছে।

বেশিরভাগ দেশে কর্পোরেট নামগুলি একটি শব্দ বা সংক্ষিপ্ত রুপ হয় যা সত্তার কর্পোরেট অবস্থানকে বোঝায়। (উদাহরণস্বরূপ, "যুক্তরাষ্ট্রে" "ইনকর্পোরেটেড" বা "আইএনসি") অথবা সদস্যদের সীমিত দায়বদ্ধতা (উদাহরণস্বরূপ, "লিমিটেড" বা "এলটিডি") এ পদগুলি আইন এবং ভাষা অনুসারে পরিবর্তিত হয়। কিছু এখতিয়ারে এগুলি বাধ্যতামূলক এবং অন্য কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়।[৩৮] এগুলোর ব্যবহার প্রত্যেককে গঠনমূলক নোটিশ দেয় যে তারা এমন একটি সত্তার সাথে কাজ করছে যেটির দায়বদ্ধতা সীমাবদ্ধ। যখন কেউ এই সত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে তখনও এই সত্তা যে সম্পদের মালিক সেগুলোতে তার অধিকার অপরিবর্তিত থাকে।

যেহেতু " কোম্পানি " শব্দটি অংশীদারত্ব বা সামষ্টিক মালিকানার অন্য কোনও রূপকেও বোঝাতে পারে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংস্থা ব্যক্তি মালিকানার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে তবে এটি অন্য কোথাও সাধারণত ব্যবহৃত হয় না)।[৩৯][৪০]) তাই কিছু আইনশাস্ত্র "কোম্পানি" শব্দটি কর্পোরেট বোঝাতে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় না।

স্বাতন্ত্র্য্য্যসম্পাদনা

মার্কিন আইন অনুসারে, কর্পোরেশনগুলি স্বতন্ত্র মানুষ না হওয়া সত্ত্বেও আইনি ব্যক্তি এবং সাধারণ ব্যক্তিদের মতোই বেশ কিছু একই অধিকার এবং দায়িত্বও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কোনও কর্পোরেশন সম্পত্তির মালিক হতে পারে, এবং কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে বা কর্পোরেশন নিজেও মামলা করতে পারে। কর্পোরেশন প্রকৃত ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানবাধিকার প্রয়োগ করতে পারে,[৪১][৪২] এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও আনা যাবে।[৪৩] কর্পোরেশনগুলি বিধিবদ্ধ ক্রিয়াকলাপ, আদালতের আদেশ অথবা শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবী পদক্ষেপ দ্বারাই সমাধান হবে। ঋণদাতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়ানী আদালতের আদেশের অধীনে একটি কর্পোরেশন দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।[৪৪] তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্পোরেট শেয়ারগুলো নতুন ঋণদাতা পায়। কর্পোরেশন জালিয়াতি এমনকি গনহত্যার অভিযোগে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হতে পারে। তবে কর্পোরেশনগুলি মানুষের মত জীবিত সত্তা হিসাবে বিবেচিত হয় না।[৪৫]

আরও দেখুনসম্পাদনা

আইন
  • বাণিজ্যিক আইন
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্পোরেট আইন
  • ইউরোপীয় কর্পোরেট আইন
  • জার্মান সংস্থা আইন
  • যুক্তরাজ্যের সংস্থা আইনের ইতিহাস
  • যুক্তরাজ্য সংস্থার আইন

অন্যান্য

  • কর্পোরেট বিরোধী পদক্ষেপ
  • ব্যবসায়ী পোশাক
  • প্রতিরোধী কর্পোরেশন
  • সম্প্রদায়ের রক্ষণাবেক্ষনকারী সংস্থা
  • সমবায়
  • কর্পোরেট অপরাধ
  • কর্পোরেট প্রশাসন
  • কর্পোরেট গ্রুপ
  • কর্পোরেট হ্যাভেন
  • কর্পোরেট কল্যাণ সংস্থা
  • একক কর্পোরেশন
  • কর্পোরেটিজিম
  • কর্পোরেটাইজেশন
  • বিকেন্দ্রীভূত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা
  • নেতিবাচক কর্পোরেশন
  • ফ্যাসিবাদ
  • গুড স্ট্যান্ডিং
  • সরকারি মালিকানাধীন কর্পোরেশন
  • প্রতিযোগিতা আইনের ইতিহাস
  • সংস্থান (ব্যবসা))
  • সীমিত দায়বদ্ধ সংস্থা
  • জীবনধারণের পক্ষে ন্যূনতম মজুরি
  • মেগা কর্পোরেশন
  • বহুজাতিক কর্পোরেশন
  • রাষ্ট্রীয়করণ
  • অলাভজনক কর্পোরেশন
  • সাঙ্গঠনিক সংস্কৃতি
  • পছন্দসই স্টক
  • বেসরকারিকরণ
  • পেশাদার কর্পোরেশন (পিসি অথবা পি.সি)
  • পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (পি এল সি)
  • শেল্ফ কর্পোরেশন
  • ক্ষুদ্র ব্যবসা
  • সাউথ সী কোম্পানি
  • টিউলিপ উন্মত্ততা
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রাষ্ট আইন
  • সীমিত দায়বদ্ধসংস্থা
  • অসীম দায়বদ্ধ কর্পোরেশন

নোটসম্পাদনা

  1. "Types Of Corporations | Incorporate A Business"www.corpnet.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১০ 
  2. Pettet, B. G. (২০০৫)। Company Law। Pearson Education। পৃষ্ঠা 151। 
  3. Courtney, Thomas B. (২০০২)। The Law of Private Companies (2nd সংস্করণ)। Bloomsbury Professional। 4.001। 
  4. corporation. CollinsDictionary.com. Collins English Dictionary – Complete & Unabridged 11th Edition. Retrieved December 07, 2012.
  5. Harold Joseph Berman, Law and Revolution (vol. 1): The Formation of the Western Legal Tradition, Cambridge: Harvard University Press, 1983, pp. 215–216. আইএসবিএন ০-৬৭৪-৫১৭৭৬-৮
  6. Vikramaditya S. Khanna (2005). The Economic History of the Corporate Form in Ancient India. University of Michigan.
  7. Gepken-Jager, Ella; van Solinge, Gerard; Timmermann, Levinus (eds.): VOC 1602–2002: 400 Years of Company Law (Series Law of Business and Finance, Vol. 6). (Deventer: Kluwer Legal Publishers, 2005, আইএসবিএন ৯০-১৩-০১৯১৫-৩)
  8. Sayle, Murray (৫ এপ্রিল ২০০১)। "Japan goes Dutch"London Review of Books। London Review of Books, Vol. 23 No. 7। পৃষ্ঠা 3–7। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮ 
  9. Wilson, Eric Michael: The Savage Republic: De Indis of Hugo Grotius, Republicanism and Dutch Hegemony within the Early Modern World-System (c. 1600–1619). (Martinus Nijhoff, 2008, আইএসবিএন ৯৭৮-৯০-০৪-১৬৭৮৮-৯), pp. 215–217.
  10. Jonker, Joost; Gelderblom, Oscar; de Jong, Abe (2013). The Formative Years of the Modern Corporation: The Dutch East India Company VOC, 1602–1623. (The Journal of Economic History / Volume 73 / Issue 04 / December 2013, pp. 1050–1076)
  11. Tarrant, Nicholas (২৯ এপ্রিল ২০১৪)। "The VOC: The Birth of the Modern Corporation"। The Economics Student Society of Australia। ১৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮ 
  12. Phelan, Ben (৭ জানুয়ারি ২০১৩)। "Dutch East India Company: The World's First Multinational"। PBS.org (PBS Online)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৮ 
  13. Taylor, Bryan (৬ নভেম্বর ২০১৩)। "The Rise and Fall of the Largest Corporation in History"। BusinessInsider.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৮ 
  14. Picard, Caroline (২ আগস্ট ২০১৬)। "In The Late Afternoon of Modernism: An Interview with Graham Harman"। Badatsports.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮ 
  15. Steensgaard, Niels (1982). "The Dutch East India Company as an Institutional Innovation", in Maurice Aymard (ed.), Dutch Capitalism and World Capitalism / Capitalisme hollandais et capitalisme mondial (Studies in Modern Capitalism / Etudes sur le capitalisme moderne), pp. 235–257
  16. Ferguson, Niall (2002). Empire: The Rise and Demise of the British World Order and the Lessons for Global Power, p. 15.
  17. Smith, B. Mark (2003). A History of the Global Stock Market: From Ancient Rome to Silicon Valley. (University of Chicago Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০-২২৬-৭৬৪০৪-৭), p. 17.
  18. Von Nordenflycht, Andrew: The Great Expropriation: Interpreting the Innovation of "Permanent Capital" at the Dutch East India Company, in Origins of Shareholder Advocacy, edited by Jonathan GS Koppell (Palgrave Macmillan, 2011), pp. 89–98
  19. Clarke, Thomas; Branson, Douglas (2012). The Sage Handbook of Corporate Governance (Sage Handbooks). (Sage Publications Ltd., আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪১২৯-২৯৮০-৬, p. 431). "The EIC first issued permanent shares in 1657 (Harris, 2005: 45)."
  20. Om Prakash, European Commercial Enterprise in Pre-Colonial India (Cambridge University Press, Cambridge 1998).
  21. John Keay, The Honorable Company: A History of the English East India Company (MacMillan, New York 1991).
  22. Haynes, Gerard Cohen-Vrignaud, Stephanie Metz, Jody Dunville, Shannon Heath, Julia P. McLeod, Kat Powell, Brent Robida, John Stromski, Brandon। "British East India Company"। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ 
  23. Ibid. at p. 113
  24. "Adam Smith Laissez-Faire"political-economy.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১০ 
  25. A Smith, An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations (1776), Book V, ch 1, para 107.
  26. See Bubble Companies, etc. Act 1825, 6 Geo 4, c 91
  27. See C Dickens, Martin Chuzzlewit (1843) ch 27
  28. Report of the Parliamentary Committee on Joint Stock Companies (1844) in British Parliamentary Papers, vol. VII
  29. Paul Lyndon Davies (২০১০)। Introduction to Company Law। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 1। আইএসবিএন 978-0-19-960132-5 
  30. Re Sea Fire and Life Assurance Co., Greenwood's Case (1854) 3 De GM&G 459
  31. Graeme G. Acheson & John D. Turner, The Impact of Limited Liability on Ownership and Control: Irish Banking, 1877–1914, School of Management and Economics, Queen's University of Belfast, available at "Archived copy" (পিডিএফ)। ২০১২-০১-১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১৬  and "Archived copy" (পিডিএফ)। ২০১২-০১-১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১৬ .
  32. Economist, December 18, 1926, at 1053, as quoted in Mahoney, supra, at 875.
  33. Salomon v A Salomon & Co Ltd [1897] AC 22
  34. Corporations and Other Business Organizations: Cases, Materials, Problems, ২০১০ 
  35. The Law of Business Organizations, Cengage Learning
  36. Besley, Scott; Brigham, Eugene (২০০৮)। Principles of Finance (4th সংস্করণ)। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 105আইএসবিএন 978-0-324-65588-9 
  37. "Company & Commercial – Netherlands: In a nutshell – one-tier boards"। International Law Office। ১০ এপ্রিল ২০১২। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯ 
  38. The U.S. state of California is an example of a jurisdiction that does not require corporations to indicate corporate status in their names, except for close corporations. The drafters of the 1977 revision of the California General Corporation Law considered the possibility of forcing all California corporations to have a name indicating corporate status, but decided against it because of the huge number of corporations that would have had to change their names, and the lack of any evidence that anyone had been harmed in California by entities whose corporate status was not immediately apparent from their names. However, the 1977 drafters were able to impose the current disclosure requirement for close corporations. See Harold Marsh, Jr., R. Roy Finkle, Larry W. Sonsini, and Ann Yvonne Walker, Marsh's California Corporation Law, 4th ed., vol. 1 (New York: Aspen Publishers, 2004), 5–15 — 5–16.
  39. "Corporation"www.cs.mcgill.ca। ২০১৭-১০-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৯ 
  40. "Understanding the Corporation | Boundless Accounting"courses.lumenlearning.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৯ 
  41. Emberland, Marius (২০০৬)। The Human Rights of Companies: Exploring the Structure of ECHR Protection (পিডিএফ)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 1। আইএসবিএন 978-0-19-928983-7। ১৭ জুন ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২ 
  42. e.g. South African Constitution Sect.8, especially Art.(4)
  43. Phillip I. Blumberg, The Multinational Challenge to Corporation Law: The Search for a New Corporate Personality, (1993) discusses the controversial nature of additional rights being granted to corporations.
  44. See, for example, the Business Corporations Act (B.C.) [SBC 2002] ChapterH 57, Part 10
  45. e.g. Corporate Manslaughter and Corporate Homicide Act 2007

আরও পড়ুনসম্পাদনা

  • একটি তুলনামূলক গ্রন্থলিখন: কর্পোরেট আইন সম্পর্কিত নিয়মিত প্রতিযোগিতা
  • ব্লামবার্গ, ফিলিপ আই।, বহুজাতিক চ্যালেঞ্জ টু কর্পোরেশন আইনের জন্য অনুসন্ধান: একটি নতুন কর্পোরেট ব্যক্তিত্বের জন্য অনুসন্ধান, (1993)
  • ব্রোমবার্গ, অ্যালান আর ক্রেন এবং ব্রমবার্গ অংশীদারিত্বের উপর। 1968।
  • ব্রাউন, ব্রুস। কর্পোরেশন এর ইতিহাস (2003)
  • ক্যাডম্যান, জন উইলিয়াম। নিউ জার্সিতে কর্পোরেশন: ব্যবসা ও রাজনীতি, (1949)
  • কণার্ড, দৃষ্টিভঙ্গিতে আলফ্রেড এফ কর্পোরেশন। 1976।
  • কুক, সিএ, কর্পোরেশন, ট্রাস্ট এবং সংস্থা: আইনি ইতিহাস, (১৯৫০)
  • ডেভিস, জন পি। কর্পোরেশনস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জুন ২০১১ তারিখে (1904)
  • আমেরিকান কর্পোরেশনগুলির প্রথম ইতিহাসে ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জুন ২০১১ তারিখে ডেভিস, জোসেফ এস প্রবন্ধ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জুন ২০১১ তারিখে (1917)
  • ডিগনাম, এ এবং লোরি, জে (2006) কোম্পানী আইন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস
  • ডড, এডউইন মেরিক আমেরিকান বিজনেস কর্পোরেশনগুলি 1860 সাল পর্যন্ত ম্যাসাচুসেটস সম্পর্কিত বিশেষ উল্লেখ সহ, (1954)
  • ডুবুইস, এবি ইংলিশ বিজনেস সংস্থা বুবলি অ্যাক্টের পরে,, (1938)
  • ফ্রিডম্যান, চার্লস ফ্রান্সে যৌথ-স্টক এন্টারপ্রাইজ, : প্রাইভেলিজড সংস্থা থেকে আধুনিক কর্পোরেশনে (1979)
  • ফ্রান্ড, আর্নস্ট এমসিমাস্টার.সি.এ, কর্পোরেশনের আইনি প্রকৃতি (1897)
  • হলিস, ফ্রেডরিক কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব: ন্যায়শাস্ত্রের একটি গবেষণা (1930)
  • হেসেন, রবার্ট কর্পোরেশন প্রতিরক্ষা মধ্যে। হুভার ইনস্টিটিউট। 1979।
  • হান্ট, বিশপ ইংল্যান্ডে বিজনেস কর্পোরেশনের বিকাশ (১৯৩36)
  • ক্লেইন এবং কফি ব্যবসায় সংস্থা এবং অর্থ: আইনি এবং অর্থনৈতিক নীতি। ফাউন্ডেশন। 2002।
  • মজুমদার, রমেশ চন্দ্র। প্রাচীন ভারতে কর্পোরেট জীবন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ জুলাই ২০১১ তারিখে, (1920)
  • মানে, রবার্ট চার্লস। অনুন্নত ও আইনের বিকাশ: Nineনবিংশ শতাব্দীর কলম্বিয়াতে কর্পোরেশন এবং কর্পোরেশন আইন, (1980)
  • মিকলেথওয়েট, জন এবং ওল্ড্রিজ, অ্যাড্রিয়ান। সংস্থা: বিপ্লব আইডিয়া সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। নিউ ইয়র্ক: আধুনিক পাঠাগার। 2003।
  • ওভেন, টমাস রাশিয়ান আইনের অধীনে কর্পোরেশন, : জারসিস্ট অর্থনৈতিক নীতি একটি অধ্যয়ন (1991)
  • রুঙ্গা, রাধে শ্যাম। দ্য রাইজ অফ দ্য বিজনেস কর্পোরেশন, ১৮৫১-১৯০০, (১৯ 1970০ )
  • স্কট, ডব্লিউআর সংবিধান এবং ইংরেজি, স্কটিশ এবং আইরিশ জয়েন্ট-স্টক সংস্থার 1720 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ জুলাই ২০১১ তারিখে (1912) এর অর্থ
  • সোবেল, রবার্ট দ্য এজ অফ জায়ান্ট কর্পোরেশন: আমেরিকান ব্যবসায়ের একটি ক্ষুদ্রecণ ইতিহাস। (1984)
  • Barnet, Richard; Muller, Ronald E. (১৯৭৪)। Global Reach: The Power of the Multinational Corporation। Simon & Schuster। 
  • পিজি মাহুনি, 'চুক্তি বা ছাড়? কর্পোরেট আইনের ইতিহাস সম্পর্কিত একটি রচনা '(2000) 34 গ। আইন পর্যালোচনা 873
  • পিআই ব্লামবার্গ, কর্পোরেশন আইনের বহুজাতিক চ্যালেঞ্জ (1993)
  • পিএল ডেভিস এবং এলসিবি গাওয়ার, মডার্ন কোম্পানির আইনের সূত্র (6th ষ্ঠ এডএন মিষ্টি এবং ম্যাক্সওয়েল 1997) অধ্যায় 2-24
  • আরআর ফর্ময়, কোম্পানির of তিহাসিক ভিত্তি (মিষ্টি এবং ম্যাক্সওয়েল 1923) 21
  • পি ফ্রেন্ট্রপ, কর্পোরেট প্রশাসনের একটি ইতিহাস 1602–2002 (ব্রাসেলস এট আল।, 2003)
  • এস কিড, কর্পোরেশনসের আইন সম্পর্কিত একটি চুক্তি (1793–1794)
  • জে মিকলেথওয়েট এবং এ ওল্ড্রিজ, সংস্থা: বিপ্লবী ধারণার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (আধুনিক গ্রন্থাগার ২০০৩)
  • ডাব্লিউ ব্ল্যাকস্টোন, ইংল্যান্ডের আইন সম্পর্কিত মন্তব্যসমূহ (1765) 455–473
  • টুজ, অ্যাডাম, "গণতন্ত্র এবং এর বিচ্ছিন্নতা", নিউইয়র্ক রিভিউ অফ বইস, খন্ড। এলএক্সভিআই, না। 10 (6 জুন 2019), পিপি 52-553, 56–57।" আমলাতান্ত্রিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তির নীরবচ্ছিন্ন পরিচালনার জন্য গণতন্ত্রের কোনও সুস্পষ্ট জবাব নেই। আমরা সম্ভবত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবোটিকের আকারে এর সম্প্রসারণের সাক্ষী হতে পারি। একইভাবে, কয়েক দশকের ভয়াবহ সতর্কতার পরেও পরিবেশগত সমস্যাটি মূলত উদ্বেগহীন রয়ে গেছে ...। আমলাতান্ত্রিক প্রভাব ও পরিবেশ বিপর্যয় হ'ল গণতন্ত্রীরা খুব খারাপভাবে মোকাবেলা করা ধীর-চলমান অস্তিত্বমূলক চ্যালেঞ্জগুলির ধরনের অবশেষে .... অবশেষে, হুমকির দ্বি যাত্রা রয়েছে: কর্পোরেশন এবং তারা যে প্রযুক্তিগুলি প্রচার করে "। (পৃষ্ঠা ৫–-৫7।)

বহিঃসংযোগসম্পাদনা

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগবদরের যুদ্ধআনন্দবাজার পত্রিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলইসলামবাংলাদেশব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলদোয়া কুনুতফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলা ভাষাআবহাওয়াআর্জেন্টিনাআর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাশেখ মুজিবুর রহমানমিয়া খলিফাকোস্টা রিকা জাতীয় ফুটবল দলরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুম্বই ইন্ডিয়ান্সবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহযাকাতলিওনেল মেসিফিতরামুহাম্মাদইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনকুরআনের সূরাসমূহের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলক্লিওপেট্রাচেক প্রজাতন্ত্রইউটিউবকাজী নজরুল ইসলামদোলযাত্রাআসসালামু আলাইকুমবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাশিয়া ইসলামচেন্নাই সুপার কিংসকুরআনবিকাশআয়াতুল কুরসিমৌলিক পদার্থের তালিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধছয় দফা আন্দোলনশাকিব খানসানরাইজার্স হায়দ্রাবাদভুটানসৌদি আরবআল্লাহর ৯৯টি নাম২০২৪ কোপা আমেরিকাবিশ্ব থিয়েটার দিবসবাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের তালিকাপহেলা বৈশাখসেজদার আয়াতভারতপদ্মা সেতুদৈনিক প্রথম আলোঢাকা মেট্রোরেলভূমি পরিমাপশেখ হাসিনাবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহওয়ালাইকুমুস-সালামভৌগোলিক নির্দেশকবদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবাদের তালিকাযৌনসঙ্গমবাংলাদেশী টাকাইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকম্পিউটারহজ্জটুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের রেকর্ড তালিকাবাংলা বাগধারার তালিকানেপোলিয়ন বোনাপার্টবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকাবিভিন্ন দেশের মুদ্রাটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবাংলা ভাষা আন্দোলন২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব২৭ মার্চজনি সিন্সবাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২সাহাবিদের তালিকাঅকাল বীর্যপাত২০২৩ট্রাভিস হেডন্যাটোমুহাম্মাদের স্ত্রীগণলিঙ্গ উত্থান ত্রুটিমাইকেল মধুসূদন দত্তজানাজার নামাজব্রাজিলমহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলবসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রডুগংমুস্তাফিজুর রহমানবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীপশ্চিমবঙ্গফরাসি বিপ্লব